আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
মাননীয় উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
জনাব আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ১৪ জুলাই, ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী ছাত্র কর্মী , যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব, ২০২৪ সালের বাংলাদেশের কোটা সংস্কার ও অসহযোগ আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যার ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং পালানোর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটেছিল।
জনাব আসিফ ঢাকার নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক এবং তার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (বিএনসিস) এর একজন ক্যাডেট সার্জেন্ট ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিচ্ছেন।
জনাব আসিফের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম ২০১৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে, তিনি ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সড়ক নিরাপত্তার জন্য আওয়াজ তুলছেন, ২০১৯ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর ন্যায়পরায়ণতার জন্য তিনি বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দাবি করতে সোচ্চার হয়েছেন। দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর উচ্চস্বরে প্রতিবাদের কারণে তিনি শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, জনাব আসিফ তাঁর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের এবং তাদের সহায়ক সংগঠনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি, আসিফ সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এই আন্দোলন এক বিশাল গণবিপ্লবে পরিণত হয় এবং ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে, যার ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন আসে। তাঁর নেতৃত্ব এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান তাঁকে জাতীয় স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
আগস্ট, ২০২৪ সালে, জনাব আসিফ নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র নেতা থেকে উপদেষ্টা হিসেবে যাত্রা, দ্রুত উত্থান তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের সক্ষমতাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। তিনি একজন ভালো ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত। তিনি তাঁর জীবন এই সাহসী জাতির কল্যাণ ও মহান উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। তার দৃষ্টি হল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।